গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ভাংনাহাটি এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে হাজী আব্দুস সাত্তার দারুল উলুম জামে মসজিদ। মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবসায়ী হাজী আব্দুস সাত্তারের নিজস্ব অর্থায়নে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
হাজী আব্দুস সাত্তার দারুল উলুম জামে মসজিদ |
২০১০ সালে ভারতের প্রকৌশলী দিয়ে মসজিদটির নকশা করানো হয়। পরে ভারত থেকে মার্বেল পাথর এনে এ মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। ২০১৬ সালে নির্মাণকাজ শেষে রমজান মাসে মসজিদটির উদ্ধোধন করা হয়েছে।
মসজিদের পেছনের বাগান-ছবি-বাংলানিউজচার বিঘা জমি নিয়ে ৮০ কোটি টাকা ব্যয় করে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত মসজিদটি দেখতে ও নামাজ পড়তে প্রতিদিন গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত মানুষ আসেন। তবে শুক্রবার জুমআ নামাজ পড়তে এ মসজিদে বিভিন্ন অঞ্চলের মুসল্লিরা ভিড় জমান। মসজিদ ও পাশেই একটি মাদ্রাসা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দেখাশুনার জন্য ৩৩ জন লোক রয়েছে। দুই তলাবিশিষ্ট এই মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ করতে পুরো ৬ বছর সময় লাগে। সব সময় বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা চালু রাখতে রয়েছে নিজস্ব জেনারেটর। শান্তির আহ্বানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সুউচ্চ দুটি মিনার। ১১০ ফুট বিশিষ্ট দুটি পাশাপাশি নয়নাভিরাম মিনার থেকে ভেসে আসে সুমধুর আজান।
এ মসজিদে বিশাল উঁচু দুইটি মিনার ও চারটি গম্বুজ রয়েছে। সামনে রয়েছে দু’টি দৃষ্টিনন্দন বিশাল মিনার। পুরো মসজিদটি মার্বেল পাথরের তৈরি। মসজিদটির সামনে বিশাল একটি গেট। গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই বড় একটি দরজা। এর ডান ও বাম পাশে রয়েছে আরও দু’টি ছোট দরজা। ভেতরে অসংখ্য বৈদ্যুতিক পাখা। মসজিদের ভেতরে মার্বেল পাথরে খচিত সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত লেখা রয়েছে।
মসজিদটি আরবি ক্যালিগ্রাফি এবং ইসলামী নকশা দিয়ে সুশোভিত করা হয়েছে। চমৎকার দৃষ্টিনন্দন শিল্প সুষমায় সজ্জিত এ স্থাপনায় তিনশরও বেশি স্থানে ক্যালিগ্রাফি ও অলঙ্করণের কাজ আছে। দেশ এবং বিদেশের শীর্ষস্থানীয় ক্যালিগ্রাফাররা এই মসজিদের ক্যালিগ্রাফি ও নকশা সম্পাদনা, তদারকি, সমন্বয় ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নতুন করে অঙ্কনের কাজ ও স্থাপনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া মিহরাব, আর্চ, সিলিং, কলাম, বীম ও দেয়ালে ফুল-লতা-পাতার মোটিফ নির্ভর ইসলামী নকশা ও আসমাউল হুসনার ক্যালিগ্রাফি সহকারে সুশোভিত। এটি পাথর এনগ্রেভ, জিপসাম প্লাস্টার কাটাই, রঙ, টাইলস বার্ণ ও এ্যাম্বুস পদ্ধতিতে করা। বলা যায়, বাংলাদেশে মসজিদ স্থাপত্যে ক্যালিগ্রাফি ও অলঙ্করণে আন্তর্জাতিক শিল্পমানের সর্বোচ্চ প্রয়োগ এটিই প্রথম।
0 Comments